আপনি কখন নিজেকে সুখি ভাববেন অথবা কিভাবে সুখি হতে পারবেন কখনো কি ভেবেছেন ?
আমি ভেবে ভেবে একটি জায়গায় এসে স্থির হতে পেরেছি । এখন নিজেকে আমি শতভাগ সুখি মনে করি ।সারাটা জীবন সুখের পিছনে ছুটতে ছুটতে আমি হয়রান হয়ে পড়েছিলাম ।ক্লান্ত, শ্রান্ত ,নিস্তেজ , নির্জিব হয়ে পড়েছিলাম !
এক সময় জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে পড়েছিল ! মৃত্যুর জন্য ও প্রস্তুত ছিলাম ।
এতদিন কি বোকাটাই না ছিলাম ! তুচ্ছ কিছুর জন্য মরে যেতে চাইতাম ।তা ঠিক যে আবেগী মানুষেরাই বেশী কষ্ট পায় ছুতোয় নাতায় । মরে যেতে চায় যখন তখন ।আমি এসব তুচ্ছতাকে এখন জয় করেছি ।ধীরে ধীরে নিজেকেই নিজে ধরে ধরে বুঝিয়েছি , জীবনকে বুঝতে শিখেছি ।
যে কোন অবস্তায় প্রতিকূলতাকে জয় করে বেঁচে থাকার মধ্যে যে আনন্দ আর অনাবিল সুখ তা আর অন্য কিছুতে নেই।
ধরুন আপনার প্রেমিক /প্রেমিকা আছে
আপনার স্বামী / স্ত্রী আছে , আপনার ছেলে, মেয়ে আছে , ভাই/ বোন ,আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব কত জন আছে । আপন আছে , পর আছে ।
তাদের পিছনে আপনি কখনো ছুটবেন না । কারণ তারা সবাই আলাদা স্বত্বা । এরা কেউ আপনার আয়ত্বে বা অধীনে নয় ।এরা কেউ আপনার মনের মত নয় বলে আপনি দুঃখে মরে যাবেন না ।
এই পৃথিবীতে কেউ কারো মনের মত হয়না ।একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হতে পারে । এই সময় টা চলে গেলে খুব কাছের মানুষ বদলে যায় ।এই বদলে যাওয়া দেখে আপনি কেঁদে কেটে অস্থির হবেন না ।
সারাদিন মন খারাপে ডুবে থাকবেন না ।কারণ পৃথিবীতে কিছু অলিখিত নিয়ম আছে এরমাঝে স্বার্থপর হয়ে উঠা একটা ! কিন্তু সবাই এই নিয়মে গা ভাসাতে পারেনা ।তো আপনি কি করবেন ? আপনার নিজের আয়ত্বে যা আছে তার গভিরে ডুব দেন। যেমন গানের ভিতরে , পড়ার ভিতরে , আবৃত্তি শুনেন ইচ্ছে হলে শিখেন , অবসরে নিজের মনের কথা ডায়রীতে লিখে রাখেন । ঘুড়তে বেড়িয়ে পড়েন ।
গাছ লাগান , নিজের হাতে লাগানো গাছে যখন ফুল , ফল ধরবে এত সুখি হবেন , এত সুখি হবেন যে ভাবতেই পারবেন না ! এত অল্পতেই এতটা সুখের মালিক হওয়া যায় ।
এমন অনেক কিছু আছে যা আপনার নাগালের ভিতরে , আপনি নিজে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন ।এমন কিছুর পিছনে ছুটবেন না যা আপনার নিয়ন্ত্রন বা আয়ত্বের বাইরে ।
নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন সব কিছু বাদ দিয়ে ।নিজেকে সময় দিন নিজে সুন্দর করে সাজুন ।নিজেকে নিজেই দেখে মুগ্ধ হোন ।নিজের সৌন্দর্য্যের চর্চা করুন । নিজের হাত পায়ের যত্ন নিন ।ডিজাইনার পোষাক পরুন । যেন নিজেকে নিজে দেখে ওয়াও বেরিয়ে আসে আপন মনে ।
এভাবেই আপনি অল্প অল্প করে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন ।নিজের জন্য আলাদা একটা জগৎ তৈরী করুন । নিজে ভালো থাকার জন্য । আর হ্যাঁ উজার করে শুধু নিজেকেই ভালোবাসুন । আপনি নিশ্চয়ই আপনাকে ঠকাবেন না ।
নিজেকে নিজে সম্মান করুন । একদম বিগলিত হয়ে পাপোষ হতে যাবেন না । আর কাউকে সে যা না ,ভালোবেসে তাকে নিজের চেয়ে বেশী সম্মান দিতে যাবেন না । আসলে সে অন্যের কাছে কিছুই না আপনার কাছে অনেককিছু ছিল আর এই অহংকারেই সে সমূলে বিনাশ হল !
সে ভেবেছে সব জায়গায় তার একি রকম ভাবে গ্রহণযোগ্যতা ! যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকুই তাকে দিতে হয় । কারণ সবাই সবকিছু ধারণ করতে পারে না ! আপনি তাকে বেশুমার ভালোবেসে অহংকার ও দুর্লভ ভাবের জন্ম দিয়েছিলেন তার ভিতর ।আপনি সাধারণ কে অসাধারণ করে তুলেছিলেন সীমাহীন ভালোবেসে !
তাই আপনি নিজে অহংকারী হয়ে উঠুন নিজেকে ভালোবেসে অন্যকে নয় ।কেউ কাউকে সুখি করতে পারেনা । সুখ আপনার নাগালের ভিতর । সুখি হওয়ার জন্য নিজেই যথেষ্ট কারো উপর নির্ভরশীল বা পরগাছা হয়ে নয় !
সুখ হল অন্তর্নিহিত ব্যাপার ।সব সময় সব অবস্থায় নিজেকে সুখি ভাবুন একদিন দেখবেন পোষা বেড়ালের মত সুখ আপনার পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে !
“আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়"
(অনুকথন)
Shuvra Nilanjona
No comments:
Post a Comment
Thank u very much