Tuesday, August 10, 2021

জেনে নেওয়া যাক লেবুপানি খাওয়ার কিছু উপকারি গুনাগুন:

 

লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা


এড. মোঃ ছোহরাব হোসেন ভূঁঞা(মিঠু)
(আইনজীবী, জজকোর্ট ঢাকা/কুমিল্লা, বাংলাদেশ)


লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।লেবুর শরবতের কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে কি জানি? সকাল সকাল হালকা গরম পানিতে লেবু  মিশিয়ে পান করে দিনটি শুরু করলে সেটি হয়ে উঠবে অনেক প্রানবন্ত ও স্বাস্থ্যকর। 


জেনে নেওয়া যাক লেবুর কিছু উপকারি গুনাগুন:


হজমে সহায়ক:

শরীর থেকে অযাচিত পদার্থ এবং টক্সিন বের করে দেয় লেবুর রস। আমাদের হজমের জন্য ব্যবহৃত লালা এবং পাচক রসের সাথে বেশ মিল আছে এর গঠন এবং কাজের। আর যকৃত থেকে হজমে সহায়ক এক ধরণের পদার্থ নিঃসরণেও এটি সহায়তা করে।


ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে:

শরীরে মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া মূত্রনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।


রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও লৌহ, যা ঠাণ্ডা জ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরও আছে পটাসিয়াম, যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড প্রদাহ দূর করে এবং অ্যাজমা বা এ জাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়। এছাড়াও কফ কমাতে সাহায্য করে লেবু।


শরীরের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখে:

শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় রোগ।


ত্বক পরিষ্কার করে:

ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।


আপনার মন ভালো করে দেয়:

সকালেই প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে দিতে এর জুড়ি নেই। খাবার থেকে শক্তি শোষণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লেবু। আর এর গন্ধে আপনার মন ফুরফুরে হয়ে উঠবে নিমিষেই। দুশ্চিন্তা এবং বিষন্নতা দূরীকরণেও এটি অসামান্য।


নিঃশ্বাসে আনে তরতাজা ভাব:

লেবুর রস নিঃশ্বাসে সতেজতা আনা ছাড়াও, এভাবে গরম পানির সাথে লেবুর রস পানে দাঁতের ব্যথা এবং জিঞ্জিভাইটিসের উপশম হয়। তবে এটা পানের পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না, কারণ সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলে। আগে দাঁত ব্রাশ করে তারপর এটা পান করা ভালো। আর লেবুপানি পান করার পর বিশুদ্ধ পানি খেতে পারেন এক গ্লাস।


শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে:

রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল সকাল এই এক গ্লাস লেবু পানি পানের মাধ্যমে।


ওজন কমাতে সহায়ক:

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বাড়ে বেশি।


গর্ভবতী নারীদের জন্য লেবুপানি খুবই উপকারী:

লেবুপানি দেহের ভাইরাস ধ্বংস করে ও হাড়ের টিস্যু মজবুত করে। এবং একই সময়ে লেবুর পটাশিয়াম উপাদান বাচ্চার মস্তিস্কের ও নার্ভতন্ত্রের কোষ সবল করতে সাহায্য করে। সুতরাং, গর্ভবতী নারীদের জন্য বেশ উপকারী এই লেবুপানি।


অতএব, আমাদের সকলের উচিত ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ লেবুর পানি পান করা।

No comments:

Post a Comment

Thank u very much